বিষাক্ত চুম্বন
– শচীদুলাল পাল
সল্ট লেক।কোলকাতা। এই ফেজ টু।চারিদিক শুধু বিশাল বিশাল ফ্ল্যাট। আভিজাত্যপূর্ণ আবাসনে সবাই বিত্তবান। অধিকাংশ ফ্ল্যাট তালামারা। দু একটিতে আলো জলে। বাদবাকি সবাই ফ্ল্যাট কিনে তালা দিয়ে থাকে বিদেশে।কেউবা শুধুই সম্পত্তি কেনার জন্যই ফ্ল্যাট কিনেছে।সিটির সম্পূর্ণ মর্যাদা থাকলেও বেশি লোকজন রাস্তাতেও দেখা যায়না।কাজের মেয়ে ললিতা আট তলা থেকে কাজ সেরে প্রতিদিনের মতো লিফটে নেমে আসতে গিয়ে দেখলো লিফট চলছে না।অগত্যা সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগলো।
হঠাৎ তার পাঁচ তলায় নজর গেলো। দেখলো অনিল বাবুর ফ্ল্যাট এর সামনে অনেক দুধের প্যাকেট, খবরের কাগজের স্তুপ।দরজায় তালা নেই।কলাপ্সিবল বন্ধ নেই।ভেতর থেকে দরজা বন্ধ।
কৌতুহল বশতঃ সে দরজায় বেল বাজালো। বেশ কয়েকবার। কেউ সাড়া দিচ্ছে না।অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর মনে হল কেউ যেন ভিতরে আছে।কাতরাচ্ছে। দরজায় ঠকঠক আওয়াজ করলো। কাশির শব্দ শুনতে পেল।অনিলবাবু এসে দরজা খুলে দিল।দেখল ললিতা কাজের মেয়ে।অনেকদিন থেকে এই অঞ্চলে কাজ করে।সেইসূত্রে দেখেছে।অনিলবাবু ঘরে ডাকলো। —- আমার কদিন থেকে খুব জ্বর।উঠতেই পারিনি।
ললিতা গায়ে হাত দিয়ে দেখল হা এখনো জ্বর।
— আপনি কিছু খেয়েছেন? অষুধ খাচ্ছেন?
অনিলবাবু বাবু বলল কে এনে দেবে বলো? বলে দূর্বল শরীরে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
ললিতা মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। কপাল টিপে দিল।থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা দেখলো।ঘরে বিস্কুট যা ছিলো তাই এনে খাইয়ে দিল।কিছু টাকা নিয়ে বাইরে গিয়ে ওষুধের দোকান থেকে অষুধ আর কিছু রুটি তরকারি কিনে এনে খাওয়ালো।
অষুধ পথ্য আর সেবা পেয়ে অনিলবাবু সুস্থ বোধ করলো।
বললো আমার এখানে কেউ নেই।ছেলে বউমা নাতি আমেরিকায়।বউ পাঁচ বছর হলো মারা গেছে।সেই থেকে একাই থাকি।তুমি প্রতিদিন আসবে? যা বেতন লাগে দেব।
ললিতা রাজি হলো।সে নিয়মিত আসতে লাগলো। ট্যাক্সি ডেকে নার্সিং হোমে নিয়ে গেল। রক্ত পরীক্ষা অনান্য পরীক্ষা শেষে ওষুধ পথ্যে যত্নে রোগ নিরাময় হলো। ললিতার রান্না বান্না ঘর সংসারের যাবতীয় কাজকর্মের সাহচর্যে অনিলবাবু সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলো।
অনিলবাবু বয়স ৫৫, সে এক প্রাইভেট কোম্পানির কেশিয়ার ছিল। মালিকের চামচা ছিল। তার নিজগুনে একদম আপন হয়েছিল। মালিক বিশ্বাস করে ক্যাশ টাকা ব্যাঙ্ক সব সামলানোর অধিকার দিয়েছিল।ভক্তি ভালোবাসায় বিশ্বাসভাজন হতে পেরেছিল।
কিন্তু অনিলবাবু মালিকের অলক্ষে একটু একটু করে অনেক টাকা সরিয়েছিল।কোম্পানি লসে রান করায় কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলো।কিন্তু অনিলবাবু হয়ে গেল বিশাল অঙ্কের মালিক।আজ বছর পাঁচেক এই ফ্ল্যাটে এসেছে।
কিন্তু তাকে দেখার কেউ নেই। স্ত্রী পরলোকে।ছেলে আমেরিকায়।
ললিতার বয়স ৩৬ ডিভোর্সি।দু দুবার বিয়ে হয়েছিল স্বামীর সাথে সংসার করতে পারেনি। এখন বস্তিতে দাদা বৌদির সংসারে থাকে।গতর খাটিয়ে কাজ করে বৌদিকে উপার্জনের টাকা হাতে তুলে দেয়।তবুও মন পাওয়া যায়না।ভীষণ চপা।
দাদা রিক্সাচালক।মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে। বৌদি দাদাকে খুব ভক্তি যত্ন করে। দাদা যা বলে তাই শুনে।দাদা যখন মদ খেয়ে বেঘোরে ঘুমায় তখন পাশের বাড়ির একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের সাথে যৌনক্রিয়ায় মত্ত থাকে।ললিতা কতদিন দুজনকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখেছে।
দাদাকে বলতে গিয়ে ললিতা উল্টো মার খেয়েছে। বৌদি দাদাকে ভক্তি শ্রদ্ধায় এমনভাবে বশ করেছে যে সে বোনের কথায় গুরুত্ব ত দেয় না। উপরন্তু একদিন লতিকাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিল।
সেই থেকে চুপচাপ থাকে। তার সাধের বাসাটুকু ভেঙ্গে যায় এই ভয়ে।
বাড়ি বাড়ি কাজ করে খায়। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা। শরীরে বাঁধন বেশ শক্ত।স্লিম।ভারী বুক ও নিতম্ব। ঘন কালো চুল। একটা আলাদা টান আছে।কাজের মেয়ে হলে কী হবে। প্রখর বুদ্ধি।ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে।
কাজের মেয়ে ললিতা অনিলবাবুর বাড়ি নিয়মিত আসে।ঘরপোছা কাপড় কাচা বাসন মাজা রান্না করা বাজারকরা ওষুধ এনে দেওয়া যাবতীয় কাজ করে।কথাবার্তা বড়ো মিষ্টি। প্রতিদিন কাজে এসে বাড়িতে ঢুকেই অনিলবাবুকে প্রণাম করে।অনিলবাবু মানা করলেও শোনেনা বলে ——ছোটো বেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছি। আপনি আমার দাদার তুল্য।এক আপন দাদা আছে সেতো বৌদির কথায় উঠবোস করে।আমাকে দুজনেই দেখতে পারেনা।
আপনি কত বড় মাপের মানুষ আমাকে ঠাঁই দিয়েছেন। যখন যা চাই সব দেন। টাকা পয়সা যা চায় বেশীই ত দেন।
——- তুমিও তো আমার জন্য অনেক করছো ললিতা।তোমার সহায়তায় আমি আমার বেঁচে থাকার আনন্দ নতুন করে পেয়েছি। তোমার মিষ্টি কথা ব্যবহারে আমি মুগ্ধ।এমাস থেকে ভাবছি তোমার বেতন ডবল করে দেব। তুমি আর একটু বেশি ক্ষন থেকো।
ললিতার দুচোখে খুশির ঝিলিক।অনিলবাবু স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম করতে গেলো।আজ ললিতা কাজ সেরে বাথরুমে গিয়ে সাওয়ারের জলে সাবান শ্যাম্পু মেখে স্নান করল।পরনের শাড়ি ব্লাউজ সব ভিজিয়ে দিল। ছল করে এবার সে বাবুর ঘরে ঢুকে কিছু একটা পরবার জন্য খুঁজতে গিয়ে ইচ্ছে করে শব্দ করলো। বাবুর ঘুম ভেঙে গেলো।
অনিলবাবু দেখল পরিপূর্ণ যৌবনা সদ্যস্নাতা অপরূপা লতিকাকে। তার সুপ্ত কামনা জাগ্রত হলো।
কাপড়ের খোঁজে ললিতা ঘরে এসেছে।তার নগ্ন রূপ দেখে অনিলবাবু নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলোনা। সে ললিতাকে জাপটে ধরে বিছানায় নিয়ে এসে আলিঙ্গনে চুম্বনে ভরিয়ে দিল। ললিতা নিজেকে সমর্পণ করলো।
সেই থেকে তারা প্রায় মিলিত হতো। একদিন রাতে বাইরে তুমুল ঝড় জল বৃষ্টি।অনিলবাবু বলল আজকে থেকে যাও।কাল যাবে।
—– না তা হয়না বাবু। আমরা না হয় কাজের মেয়ে কিন্তু আপনার ত মান সম্মান আছে। লোকে কি বলবে? যতই হোক আমি ত বিয়ে করা বউ নই।
—– কে কি বলবে। বয়েই গেল।
তবু ললিতা বাবুর কথা না শুনে ঝড় জলের রাতে বের হয়ে গেল।
পরপর কদিন সে এলোনা।
বাবু ত চিন্তায় অস্থির। কি হলো?
দিনসাতেক পর ললিতা এসে বেল বাজাতে অনিল বাবু জড়িয়ে ধরে বিছানায় নিয়ে গেল।
——কেন আসনি এতদিন?তোমাকে ছাড়া আমি বাঁঁচবোনা। তুমি আর আমাকে ছেড়ে যাবে না কথা দাও। দিনরাত এখানেই থাকবে।
——– আমি কি আপনার বউ?
ললিতা তার কোমল অঙ্গ দিয়ে বাবুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ নিষ্পেষিত করলো।বাবু উত্তেজিত হলে উঠে পড়লো। বাবুকে প্রণাম করে বললো “বাবু চলি।এবার আমাকেও নানান লোকে নানা কথা বলছে। আগে আড়ালে আবডালে বলতো এখন সরাসরি বলে।” বলেই ললিতা চলে গেলো।উত্তেজিত ক্ষুধার্ত বিষন্ন অনিলবাবু বিছানায় বালিশ আঁকড়ে পড়ে রইলো।
এভাবে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলো। ললিতা আর আসেনা।চিন্তায় চিন্তায় অনিলবাবু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লো। তাকে একটা ভয় গ্রাস করতে লাগলো। একদিন ত বুকে ব্যাথা।
অনিলবাবু ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন লোককে জিজ্ঞেস করলো ললিতার কথা।কেউ বলতে পারলো না।বিভিন্ন আবাসনের সামনে পিছনে গিয়ে পাগলের মতো চীৎকার করে ডাকতে লাগলো।যদি কোনো বাড়িতে কাজ করতে এসে থাকে!এভাবে তাকে খুঁজে পেলনা।একদিন ভোরে উঠে গাছের আড়ালে লুকিয়ে লক্ষ করতে লাগলো। দেখলো হা ওইত ললিতা।সে ললিতাকে দেখে জাপটে ধরলো। ——-কি করছেন ছাড়ুন। লোকে দেখছে।
জোর করে ললিতাকে ফ্ল্যাট এ নিয়ে আসল।বলল বল কি চাও তুমি।
—— আমি আপনার বাড়িতে আসতে পারবনা।
— কেন?
—– সবই ত বুঝতে পারছেন। আমার কাজকর্ম করে খাওয়া দাওয়া আর হবেনা। সবাই আমার শরীর টা চাই।আপনিও।
অনিলবাবু কিছু ক্ষন চুপথেকে বলল ” যদি আমি তোমাকে আইনত বিয়ে করি “?
লতিকার শরীর মন নেচে উঠলো। মনে মনে ভাবলো সেতো এটাই চেয়েছিল তাই ত সে ভক্তি,প্রেম,ভালবাসা সেক্স ছাড়াছাড়ি বিরহ দিয়ে বাবুর মন জয় করেছিল।মনে মনে ভাবলো তার অভিনয় সফল হয়েছে।সে উত্তর দিলনা।
অনিলবাবু লতিকাকে বিছানায় নিয়ে এসে দেহমিলনে উদ্যত হলে সে প্রবল বাধা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে অনিলবাবু কে ফেলে দিয়ে বলল ” এখন নয় যেদিন থেকে আপনি আমায় বিয়ে করবেন সেদিন থেকেই এটা সম্ভব। “
অনিলবাবু বলল “এই নাও একটা মোবাইল।এটা তোমার। আমি তোমাকে নিয়ে কালই রেজেস্ট্রি অফিসে যাব। কাল রবীতীর্থের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। তোমার চেনা জানা একজনকে সাথে নিয়ে এসো।”
পরদিন যথাসময়ে ললিতা ওর এক চেনাজানা প্রভাবশালী মহিলাকে নিয়ে এলো। অনিলবাবু তার এক বিশিষ্ট বন্ধুকে সাথে নিয়ে ট্যাক্সি করে রেজেস্ট্রি অফিসে গিয়ে রেজেস্ট্রি করলো। কালীঘাটে গিয়ে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করল।চাইনিজ রেস্টুরেনটে গিয়ে খাবার খেয়ে ফ্ল্যাটে ফিরল।প্রতিবেশীদের আবদারে বিয়ের পার্টি দিল।
ললিতার প্রেম ভক্তি সফল হলো।এখন সে রাতদিন অনিলবাবুর সাথে এক ফ্ল্যাটেই থাকে। ললিতার অপরূপ দেহ মন আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠলো। আগের বউ ভীষণ ঝগড়েটে ছিল। ললিতার ব্যবহার মার্জিত। অনিলবাবুর পা টিপে দিত।সর্বাঙ্গ মালিশ করে দিত নিজের ইচ্ছেতে। যখন যা ইচ্ছে হত তাই করত।অনিলবাবুর ইচ্ছেমতো ঘুরতে যাওয়া এমনকি মদ্যপান ও করত।
দামি দামি মদ সে নিজে কিনে আনত।
দুজনে একসাথে বসে মদ খেত।একদিন অনিলবাবু মদ খেয়ে বেহুশ।ঘরে হালকা নীল আলো জলছে।ললিতা সন্তর্পণে উঠে পড়ল।বিছানার নীচে আলমারির চাবি নিয়ে আস্তে আস্তে আলমারি খুলল। খুলতেই দেখলো বান্ডিল বান্ডিল টাকা। প্রচুর সোনা দানা। আর একটা সেল্ফে দেখল কাগজ পত্র।সেগুলি সব বের করে অন্য ঘরে পরিস্কার আলোয় দেখে তার চক্ষু চড়কগাছ। ফিক্সড ডিপোজিট শেয়ার মিলিলেই ত কোটি কোটি টাকা।এছাড়া শহরের বিভিন্ন যায়গায় তিনটি বড় বড় ফ্ল্যাট।
এইসব কাগজ পত্র নিয়ে আবার যথাস্থানে রাখতে যাবে সেই সময় বাবুর মনে হলো চেতন হলো ঘোরে সে ডাকছে ” লতিকা “
ললিতা ধড়ফড় করে এসে তার পাশে শুয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরে বলল এইত আমি।বাবু নিশ্চিত হয়ে ললিতাকে জড়িয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। লতিকা কাগজপত্র যথাস্থানে রেখে দিল।
পরদিন সকালে উঠে ললিতা প্রেম ভক্তি আরো উচ্চমার্গে নিয়ে গেল।
সেদিন ছিল কড়য়াচক।সারাদিন উপোস করে থেকে রাতে বারান্দায় গিয়ে চাঁদের আলোয় স্বামীর মুখ দেখলো।
তার এই ভক্তি তে অনিলবাবু বিগলিত হলো।মনে মনে ভাবলো এই মেয়ে আমার আগের বউয়ের থেকে লক্ষগুন ভালো। দুপুরে খাওয়ার শেষে বিছানায় স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বললো তুমিও শুধু আমার দেহ আমার কাজকেই ভালোবাস।
— না ললিতা। আমি ত তোমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছি।
—– সেত শুধু সামাজিক। কিন্তু তোমার প্রপার্টি টাকা পয়সা ব্যাঙ্কে ত আমার কোনো অধিকার নেই।
—— ও এই ব্যাপার। তাইত!ঠিক আছে পরদিন সবকটি ব্যাঙ্কে ললিতাকে সাথে নিয়ে গিয়ে ললিতার নামে নমিনী করে দিল। লকার খুলে দেখালো কিলো কিলো সোনার বার।আর ল –ইয়ারের কাছে গিয়ে সমস্ত সম্পত্তির উইল করে দিল।
এভাবে ললিতা পূর্ণ মর্যাদায় বিষয় সম্পত্তির মালকিন হয়ে গেল। এখন লকারের আলমারির চাবি সব লতিকার কাছেই থাকে।
গাড়ি কিনল। এবার থেকে ললিতা আরও বিলাসময় জীবন উপভোগ করতে লাগল।
এখন আর অনিলবাবুর কথামত সে চলত না।ললিতা যা বলবে তাই অনিলবাবুকে শুনতে হবে।আলমারি থেকে টাকা নিয়ে গাড়ি ড্রাইভার নিয়ে হোটেলে নানান পরপুরুষ এর সাথে ঢলাঢলি শুরু করলো। কোনোকোনো দিন রাতে ফিরতও না। একদিন মদ খেয়ে বাড়ি ঢুকতেই অনিলবাবুর সাথে কথাকাটি হলো।ললিতা ঝগড়াঝাটি না করে মদের মাত্রা বাড়িয়ে দিল।এখন তার অনিলবাবুকে অসহ্য লাগে।
মনে হয় এই বুড়োটা কবে মরবে?
তার এখন অনেক পুরুষ বন্ধু। একজন পরিকল্পনা দিল। ললিতা প্রতিদিন মদের সাথে স্লো পয়জন দিতে লাগলো। অনিলবাবু দিন দিন দূর্বল নির্জীব হতে লাগলো। মাস খানেক পর সকাল বেলা অনেক বেলাতেও যখন দেখলো উঠেনি। গায়ে হাত দিয়ে দেখল ঠান্ডা ও স্টিফ হয়ে গেছে।ললিতা নিজে গিয়ে ফেমিলি ফিজিশিয়ান কে ডেকে আনল।
বলল” এত স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। শরীর নীল হয়ে গেছে।আমি চলি।”
ললিতা বলল ” লিখুন নরম্যাল ডেথ” কত দিতে হবে।
— আমি কোনো টাকা চায় না।
তখন বলল দেখুন ডাক্তার আপনি যদি না লিখেন উল্টো আপনি ফেঁসে যাবেন।
—– পুলিশকে জানিয়ে দেব আপনি আমার স্বামীকে স্লো পয়জনিং করে মেরেছেন আমাকে পাবার জন্য।আর গতকাল জোর করে আমি আপনার সাথে আপনার ক্লিনিকে বিছানায় অনিচ্ছায় সেক্স করেছিলাম এইজন্যই।
একসাথে রেপ ও মার্ডার চার্জে আপনার জেল হয়ে যাবে।আপনার স্ত্রী ও উপযুক্ত সাবালিকা কন্যা আছে। এই দেখুন কালকে আমার সাথে আপনার যৌন মিলনের ভিডিও।
ভিডিও টি তুলেছে যে আপনাকে বেশি ভক্তি করে আপনার স্টাফদের একজন। তারজন্য সে টাকা নিয়েছে।আপনি যে আমাকে ধর্ষণ করেছেন তার প্রমাণ এখনো আমার অঙ্গে। আপনাকে যে অত্যন্ত ভক্তি শ্রদ্ধা করে তেমনি আপনার বন্ধু ডাক্তার এর মেডিক্যাল রিপোর্ট। প্রচুর টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করেছি।
।ডাক্তারি পরীক্ষাতেও ধর্ষন প্রমাণপত্র আমার হাতের মুঠোয়। আপনার মেয়েকে দেখিয়ে দেব।
—– হাউস ফিজিসিয়ান ললিতার ষড়যন্ত্রের কাছে হার স্বীকার করে ডেথ সার্টিফিকেটে লিখল ‘ নরম্যাল ডেথ।’